শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ফরমালিন : এক সাক্ষাৎ বিষ



আমাদের প্রত্যেককে কমবেশি বাজারে যেতে হয় মাছ থাকে সবজি, সবজি থেকে ফল সবই কিনতে হয় কখনো ভেবেছি কি পয়সা দিয়ে কী কিনছি মনে পড়ে বড়ো বড়ো ঝুড়িতে বরফ ভর্তি হয়ে বাজারে মাছ আসত এবং বরফে রেখে মাছ বিক্রি হত পাছে মাছ পচে যায় সেই কারণে বরফ দিতে হত এখন আর মাছে বরফ দিয়ে মাছ বিক্রি হতে দেখি না ভোলা, ইলিশ, পমফ্রেট, রুই, কাতলার মতো মাছ অত বেলা পর্যন্ত বরফ ছাড়া কীভাবে থাকছে ? কেন পচে যাচ্ছে না, এ প্রশ্ন কখনো করেছেন ?

সামান্য খোঁজ করলে দেখা যাবে আমাদের দেশের প্রতিটি বাড়িতে গত ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে দু-একটা ক্যানসার বা কিডনি-জনিত রোগী বা মৃত্যু আছেবিশ্লেষকদের মতে, যার মূল কারণ খাদ্যে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য বা ফরমালিন। একটি বিদেশি সংস্থার মতে, এই বিষাক্ত ফল খেয়ে শিশুদের পাকস্থলি বা কিডনি ফেলিয়র হচ্ছে, যার কারণে মৃত্যু।  মৃত্যুর আসল কারণ পর্দার আড়ালে থেকে যাচ্ছে। ভাত, মাছ-মাংস, শাক-সবজি, ফল-মূল আমরা যা খাই, সব কিছুই বিষাক্ত। ফরমালিন এবং কীটনাশক দুটিই দেশে ছড়িয়ে গেছে আমাদের স্বনামধন্য কৃষিবিদদের মাধ্যমে। এই কৃষিবিদরাই প্রথম দিকে এগুলি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন ভালো ফলন এবং ফসল সংরক্ষণের জন্য। এদিকে চতুর কৃষক বাড়াচ্ছে তাদের ফলন আর লোভি ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েই যাচ্ছে সংরক্ষনের সময়, ফলাফল অপমৃত্যু। খাবারে বিষ হিসেবে এখন সবচেয়ে বেশি কদর ফরমালিনের। ফরমালিন দিয়ে খাদ্যপণ্য পচনের হাত থেকে রক্ষা করেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে আম যদি পাঁচ থেকে সাত দিন রাখতে হয় তাহলে তিন দফা ফরমালিন স্প্রে করা হয়। আপনার কী লাভ হচ্ছে ? আমাদের কী লাভ হচ্ছে ? বিষাক্ত ফরমালিন কীটনাশক ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কেন আন্দোলন হচ্ছে না ! বাঙালি জাতি কি এদের বিরুদ্ধে আরেকবার দাঁড়াতে পারে না যারা খাদ্যে বিষ মিশিয়ে মানুষের মৃত্যু ডেকে নিয়ে আসছে বারবার ? বিষাক্ত ফরমালিন ও কীটনাশক ব্যবহারকারীদের শান্তি মৃত্যুদন্ড চাওয়া কি আমাদের দাবি হতে পারে না।

ফরমালিন কী ? ফরমালডিহাইডের (রাসায়নিক সংকেত HCHO) ৩৭ থেকে ৪০ শতাংশ জলীয় দ্রবণই হল ফরমালিন। ফরমালিনে ফরমালডিহাইড ছাড়াও ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মিথানল মিশ্রিত থাকে। ফরমালিন অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বা সংক্রামক ব্যাধিনাশক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত ফরমালিন মর্গে রাখা মানুষের লাশসহ মৃত প্রাণীর দেহর পচন রোধ করতে ব্যবহার করা হয়। আমরা নিশ্চয় জীববিজ্ঞান পরীক্ষাগারে কাচের জারে ডুবানো বিভিন্ন স্পেসিম্যান বা নমুনা (মৃতদেহ) দেখেছি যেগুলি ফরমালিন দিয়ে পচনরোধী করে রাখা আছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, যে ফরমালডিহাইড ও মিথানল উভয়ই বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ এবং মানবদেহের জন্য ক্ষতির কারণ ফরমালিন সহজলভ্য এবং কম দামে পাওয়া যায়, তাই অসৎ আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা সরাসরি ফরমালিন এবং ফরমালিন মিশ্রিত বরফ দিয়ে মাছ সংরক্ষণ এবং বিক্রি করছে। ফরমালিন সাধারণত টেক্সটাইল, প্লাস্টিক, পেপার, রং, কনস্ট্রাকশন, পোলট্রি ও হ্যাচারি শিল্প, ল্যাবরেটরি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কাঠ ও প্লাইউড শিল্প, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণায়, অ্যাগ্রো প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি, সায়েন্টিফিক ল্যাব, ওষুধ কোম্পানি, ভ্যারাইটিজ কনজিউমার প্রডাক্ট, ট্রেডিং কোম্পানিসহ ব্যাবহারের প্রয়োজন বা মৃতদেহ সংরক্ষণে খুব বেশী উপকারি একটি কেমিক্যাল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশে খাদ্যতে ফরমালিন ব্যবহার করতে দেখা যায়, যা কোনো অবস্থাতেই স্বাস্থ্যসম্মত নয় ! সেইসঙ্গে খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত কোনো কিছুতেই ফরমালিন ব্যবহার করা ঠিক নয়। যদিও কিছু কসমেটিক্স ব্যাবহার সামগ্রী, নখ পালিশ, কিছু ক্রিম, শ্যাম্পু, সাবান ইত্যাদিতে ব্যাবহারের অনুমতি থাকলেও তা ০.০২% ভিতরে থাকতে হয়।প্রাকৃতিকভাবে কিছুটা ফরমালডিহাড্রেডের উপস্থিতি লক্ষ করা যায় তামাক জাতীয় সিগারেটে এবং আর ও বেশি ফরমাল্ডিহাইড্রেড উৎপন্ন হয়, যারা সিগারেট নিভিয়ে আবার পান করেন। সেই সঙ্গে যারা সিগারেট পান করেন না তারা ও আক্রান্ত হন ধূমপায়ীর শ্বাসের মাধ্যমে।

বাজারে যেসব বিদেশি ফল ও দেশি মৌসুমি ফলমূলই পাওয়া যায় প্রায় সবগুলিতেই ফরমালিন মেশানো হয়। ফরমালিন মিশ্রিত জল ফলের উপর ছিটিয়ে দেওয়ার কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে যায়, যার ফলে আমরা বুঝতে পারছি না যে ফলগুলিতে ফরমালিন আছে কি না ? দেখা গেছে যে, এক মাসেরও বেশি সময় পরে ফলটি টাটকা দেখা যায়। আমার মনে আছে গত তিন চার মাস আগে বাড়িতে রেখে দেওয়া একটি আপেলে প্রায় ২০-২৫ দিন পরেও পচন ধরেনি, ইচ্ছা করলে আপনি এই পরীক্ষাটি করে দেখতে পারেন একসময় মাছ বাজারে গেলে দেখা যে মাছির উপদ্রব, কিন্ত এখন মাছ বাজারে গিয়ে দেখুন ক-টি মাছি পান কারণ ফরমালিনের ধারের কাছেও মাছি আসতে পারে না। আমরা যে দুধ জাতীয় খাদ্য খাচ্ছি,  যেমন -- মিষ্টি, পনির ইত্যাদি তাতে দুধের ফরমালিন অবিকৃত থেকে যাচ্ছে। কারণ তাপের মাধ্যমে ফরমালিনের ক্ষতিকর প্রভাব নষ্ট হয় না।
ফরমালিন শরীরে প্রবেশ করলে তার প্রভাব মারাত্মক ক্ষতিকর। ফরমালিন শরীরে প্রবেশের পর লিভার বা যকৃতে মিথানল এনজাইমের উপস্থিতিতে প্রথমে ফরমালডিহাইড এবং পরে ফরমিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। দুটি অ্যাসিডের যৌগই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আমাদের রক্ত বা টিস্যুতে মাত্রাতিরিক্ত ফরমিক অ্যাসিড জমা হলে মেটাবলিক এসিডোসিস উৎপন্ন হয়। এসিডোসিস শরীরের অ্যাসিড বেস এবং আয়নিক ভারসাম্য নষ্ট করে সেল বা কোশের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা প্রদান করে। তাৎক্ষণিকভাবে পেটের যন্ত্রণা, বদহজম, ডায়রিয়া, আলসার চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে। এমনকি লিভার ক্যান্সারও সৃষ্টি করতে পারে। ফরমালিনযুক্ত ফলমূলসহ অন্যান্য খাবার গ্রহণের ফলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা নষ্ট, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, আ্যাজমা রোগের উপদ্রব হয়। ফুসফুস, শ্বাসনালীতে ক্যান্সার হতে পারে। বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম, মাথাব্যথা ও চোখ জ্বালাপোড়া করতে পারে এবং ফরমালিনযুক্ত মাছ পাকস্থলী, ফুসফস ও শ্বাসনালীতে ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। ফরমালিনযুক্ত খাবারের কারণে পাকস্থলি, অস্থিমজ্জা আক্রান্ত হওয়ার ফলে রক্তশূন্যতা ও অন্যান্য রক্তের রোগ এমনকি ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে। এতে মৃত্যু ছাড়া অন্য কোনো পথ নেইফরমালডিহাইড চোখের রেটিনায় এডিমা সৃষ্টির মাধ্যমে রেটিনার কোশ ধ্বংস করে। ফলে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রেও মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে প্রসব জটিলতা, বাচ্চার জন্মগত দোষত্রুটি, হাবা-গোবাসহ প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। ফরমালিনযুক্ত খাবারে সকলেই ঝুঁকিতে থাকে তবে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধ ব্যক্তিরা অধিক ঝুঁকিতে থাকে। ফরমালিনযুক্ত দুধ, মাছ, ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ার ফলে শিশুদের শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন কমে যাচ্ছে আশংকাজনকভাবে। দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন অঙ্গ-পতঙ্গ নষ্ট, বিকলাঙ্গতা ও ক্যান্সারসহ নানা সব মরণ ব্যাধি।
কীভাবে বুঝবেন খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিন আছে ? () ফরমালডিহাইডের দ্রবণের সঙ্গে ২ সিসি ফিনাইল হাইড্রোজাইন হাইড্রোকোরাইড (১%) এবং ১ সিসি ৫% পটাসিয়াম ফেরিসায়ানাড দিয়ে তারপর ৫ সিসি ঘনীভূত হাইড্রোকোরিক অ্যাসিড মেশালে পুরো দ্রবণ গাঢ় গোলাপি রং হয়ে থাকে। একে বলা হয় সেরিভারস্ টেস্ট। () ফরমালডিহাইডের হালকা দ্রবণ যেমন মাছে ফরমালিন দেওয়া আছে তা ধুয়ে তার জলে ১ সিসি সোডিয়াম নাইট্রোপ্রোসাইড মেশালে গাঢ় সবুজ নীল রং ধারণ করে। এতে ফরমালডিহাইড তথা ফরমালিনের অস্তিত্ব প্রমাণ করে। উল্লিখিত সমস্ত কেমিক্যাল এবং রি-এজেন্ট পাওয়া খুব কঠিন এবং দামও অনেক বেশি সহজ এবং সাধারণ একটি পদ্ধতিতে আমরা এই কাজটি করতে পারি, যেমন সন্দেহযুক্ত ফরমালিন মাছ ধুয়ে জলে ৩% (আয়তন) হাইড্রোজেন পারক্সাইড মেশালে ফরমালডিহাইড অক্সিডাইজড হয়ে ফরমিক অ্যাসিডে রূপান্তর হয়। ফরমিক অ্যাসিড প্রমাণের জন্য সে জলে অল্প মারকিউরিক ক্লোরাইড মেশালে সাদা রঙের তলানি পড়বে। তাতেই প্রমাণ হবে ফরমিক অ্যাসিড তথা ফরমালডিহাইড তথা ফরমালিন। কীভাবে কিছুটা সন্দেহ করতে পারেন ফরমালিন যুক্ত আছে কি না মাছ বা সবজি ? ফরমালিনযুক্ত মাছের ফুলকা ধূসর, চোখ ঘোলাটে ও ফরমালিনের গন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া ফরমালিনযুক্ত মাছে মাছি বসে না। আঁশ তুলনামূলক ধূসর বর্ণের হয়, শরীরে আঁশটে গন্ধ কম পাওয়া যায়, দেহ তুলনামূলক শক্ত হয়। অন্যদিকে ফরমালিনবিহীন মাছের ফুলকা উজ্জ্বল লাল বর্ণের হয়, চোখ ও আঁশ উজ্জ্বল হয়, শরীরে আঁশটে গন্ধ পাওয়া যায়, মাছের দেহ নরম হয়, ত্বকের আঁশ পিচ্ছিল থাকে। ফরমালিনযুক্ত ফলে প্রাকৃতিক সুবাসের পরিবর্তে ঝাঁঝালো এক প্রকার গন্ধ থাকে। ফলের বোটার অংশটি নাকের কাছে ধরুন। যদি প্রাকৃতিক গন্ধ না পান বা ঝাঁঝালো গন্ধ নাকে লাগে তাহলে নিশ্চিতভাবেই এতে ফরমালিন মেশানো হয়েছে মনে করতে পারেন।
কীভাবে খাদ্যদ্রব্যগুলি ফরমালিনমুক্ত করতে পারবেন ? (১) পরীক্ষা করে দেখা গেছে পানিতে ফরমালিনযুক্ত মাছ প্রায় ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে ফরমালিনের মাত্রা শতকরা ৬১ ভাগ কমে যায়। (২) লবণাক্ত জলে ফরমালিন দেওয়া মাছ ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ফরমালিনের মাত্রা কমে যায়। (৩) প্রথমে চাল ধোয়া জলে ও পরে সাধারণ জলে ফরমালিনযুক্ত মাছ ধুয়ে নিলে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ ফরমালিন দূর হয়। (৪) সবচাইতে কার্যকরী পদ্ধতি হল ভিনেগার জলের মিশ্রণে (জলে ১০% আয়তন অনুযায়ী) ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে প্রায় শতকরা ১০০ ভাগ ফরমালিনমুক্ত হয়। শাকসবজি ও ফলমূল থেকে ফরমালিন দূর করা : খাওয়ার ১০ মিনিট আগে গরম লবণ জলে ফলমূল ও শাকসবজি ভিজিয়ে রাখতে হবে।
ফরমালিন নিয়ে গণমাধ্যমের কোনো হেলদোল নেই। তাঁরা এখন সারদা-মমতা-সিবিআই নিয়ে খুবই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অথচ পাশের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে ফরমালিনের প্রতিবাদ করে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে। সেখানে ফরমালিনের ক্ষতি নিয়ে গণমাধ্যমে নানা ধরনের খবর প্রকাশ হওয়ায় সরকার সম্প্রতি ফরমালিন আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। প্রথমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিধান করে যে, টিসিবি ছাড়া অন্য কেউ ফরমালিন আমদানি করতে পারবে না। কিন্তু নানা জটিলতায় টিসিবি কর্তৃক ফরমালিন আমদানি আটকে গেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া ফরমালিন আমদানির সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে। অবশ্য অনেকের মতে, সরকারের কড়াকড়ির কারণে অবৈধ পথে ফরমালিন আমদানি বেড়ে গেছে।
বাংলাদেশ জনগণের ধারাবাহিক আন্দোলন-প্রতিবাদের ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্যে ফরমালিন ব্যবহারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। সে দেশে খাদ্য দ্রব্যে ফরমালিনের ব্যবহার রোধে ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ বিল ২০১৫ পাস করা হয়েছে। বাংলাদেশ পারে, আমরা পারি না কেন ?

কোন মন্তব্য নেই: