মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

কুমারী মাতা



দু-পাশে পাশবালিশ
মধ্যিখানে কবিতা
শুয়ে আছে নধর কবিতা
অভীষ্ট কবিতা।

শুয়ে আছে কবিতা
কামাতুর
কামাতুর
কামাতুর
শরীরী বিভঙ্গে কম্পমান।

নগ্ন কবিতা আমার
শীৎকারে উচ্চারিত হয়
মৃগনাভির গন্ধ ছড়ায় বাতাসে
নাবিকের মতো ওড়াউড়ি।

শৌখিন আঁচড় কাটা শরীরে
পিঠের কাছে হাত
বুকের কাছে হাত
বুকের কাছে মুখ
মুখের কাছে মুখ--
দ্রাক্ষাবনে আমার শবাসন,
তুমি জেগে আছ আলোড়নে।

কবিতা জন্ম দেয় আর-এক কবিতা
কুমারীর আঁতুর ঘরে
প্রসব হয় কবিতার ভুলি না
ভুলি না পিতা নই আমি, মাতা সে।

কোন মন্তব্য নেই: