অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলমে

পৃষ্ঠাসমূহ

  • প্রথম পাতা
  • প্রবন্ধ
  • অণুগল্প
  • কবিতা
  • অণুকবিতা
  • আপনকথা-যাপনকথা
  • আমার সংক্ষিপ্ত জীবনকথা

আপনকথা-যাপনকথা


এটি ইমেল করুনএটি ব্লগ করুন!X-এ শেয়ার করুনFacebook-এ শেয়ার করুনPinterest এ শেয়ার করুন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

হোম
এতে সদস্যতা: পোস্টগুলি (Atom)

মোট পৃষ্ঠাদর্শন

সংক্ষেপে আমার জীবন

আমার নাম অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পিতার নাম সন্তোষ বন্দ্যোপাধ্যায়। মায়ের নাম বকুল বন্দ্যোপাধ্যায়। আমার জন্ম হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগণার বারাসাত হাসপাতালে ১০ মার্চ ১৯৬৪ সালে। যদিও এ কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন, আমার আমার জন্মসাল ও তারিখ নিয়ে আমি নিজেই যথেষ্ট সন্দিহান। কোনোরকম নির্ভরযোগ্য নথি আমি পাইনি। যাই হোক, আমার শৈশব ও যৌবন কেটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ শহরে। ভিক্ষু প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আমার পড়াশোনা শুরু হয়। এই স্কুলটি ক্লাস ফোর পর্যন্ত। এরপর নগেন্দ্রনাথ জুনিয়র হাইস্কুলে ভরতি হই। এখান থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা শেষ করি। এরপর কবি কেশবলাল বিদ্যাপীঠ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিই ১৯৮২ সালে। মাধ্যমিক পাস করার পর বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ে ভরতি হই। এখান থেকে ১৯৮৪ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এবং ১৯৮৬ সালে গ্র্যাজুয়েশন করি।

আমার বাবা পেশায় দরজি ছিলেন। আমাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। এবেলা খাওয়া পেলে ওবেলা কী খাওয়া জুটবে সে নিশ্চয়তা ছিল না। কত রাত না-খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি সে হিসাব রাখতে পারিনি। আমরা দুই ভাই এক বোন। আমি মেধাবী ছাত্র ছিলাম না। পড়াশোনা একদম করতাম না। পড়াশোনা করার তেমন কোনো চাপও ছিল না। অনটনের কারণে আমার এবং আমাদের ভাইবোনদের কোনোদিন গৃহশিক্ষক ছিল না। পড়াশোনার ব্যাপারে কী আমার পরিবার থেকে কী অন্য কোথা থেকেও গাইড পাইনি। যা বুঝেছি তাই পড়েছি তাইই পরীক্ষা হলে গিয়ে লিখে এসেছি। এই পড়াশোনায় পাস করা খুব কঠিন ছিল। তবুও কোনোরকম পাস করে ক্লাসে ঠেলে ঠেলে ওঠা।

১৯৮৪ সালে এক সকালবেলায় যখন শরতের রোদ গড়াগড়ি করছিল, তখন আমার বাড়ির সামনে এক সাইকেল মেরামতে দোকানের সামনে অলোক আর বিজয়ের সঙ্গে দেখা হল। অলোক হল কবি অলোক বিশ্বাস। বিশ্বাসে বামপন্থী। সেদিন একটি বই আমার দিকে এগিয়ে বলল, “এটা আমরা বের করি। উচেতা। সম্পাদক, সুব্রত রায়।তুই একটা পত্রিকা নে।” আমি পত্রিকাটি হাতে নিলাম। অলোক বলল—“চাইলে তুই এখানে লিখতে পারিস। একদিন কলেজ ক্যান্টিনে আয়, তোকে সুব্রতদার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব।” আমার শরীরটা অবশ হয়ে গেল। মাথাটা ঝিমঝিম করতে লাগল। আমি লিখব ! মানে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্তরা যা করতেন। আমিও তাই করব ! অলোককে বললাম – “আমি তো লিখি না। আমি তো পড়তেই পারি না।” অলোক বলল -- কাল ক্যান্টিনে দেখা কর। দেখা করেছিলাম। দেখা হল ‘উচেতা’ পত্রিকার সম্পাদক সুব্রত রায়ের সঙ্গে। উনি আমার থেকে দু-চার বছরের সিনিয়র হয়তো। উনিই আমার প্রথম ব্যক্তিগত পরিচিত মানুষ। প্রথম দিনই আমাকে কবিতা কী কেন শেখাতে চেষ্টা করলেন। তারপর বললেন – “সঙ্গে কবিতা আছে ? শোনাও দেখি, কী লিখেছ।” আমি আকাশ থেকে পড়লাম। বললাম – “আমি তো এখনও কবিতা লিখিনি!” সুব্রতদা বললেন – “আগামীকাল বেশ কিছু কবিতা লিখে আনবে। যেমন পারো।” তারপর থেকে আমি ওনার ছায়াসঙ্গী হয়ে গেলাম। সবাই বলত জোড়মানিক। ওনার সঙ্গে পত্রিকা করতাম। প্রেসে প্রেসে যেতাম। তখন লেটার প্রেসের যুগ। যেখানে কম্পোজ সেখানেই ছাপা। পত্রিকার দৌলতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় কোনো-না-কোনো কবি-সাহিত্যিকদের বাড়িতে যেতে হত। সেখানে লেখালেখি নিয়ে আলোচনা হত। আমি শুনতাম।

এমনই এক আসরে সুব্রতদা আমাকে কবিতা পড়তে বললেন। আমার মতো মুখচোর মানুষ এই প্রথমবার উপস্থিত অনেক মানুষের সামনে কবিতা পড়ব ! মানে এই শুধু বলব আর সবাই শুনবে ! পড়লাম। ঠোঁটদুটো অবশ হয়ে গেল। কেমন যেন গম্ভীর হয়ে গেলাম চাপে। হাত-পা যেন কাঁপতে থাকল। কবিতা পড়া শেষ হল। হাততালিতে আসর ফেটে পড়ল। সেদিনই আমি জেনেছিলাম কবিতার জন্য নয়, হাততালি দিয়েছিল আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য। উৎসাহ পেয়েছিলাম। একজন বান্ধবহীন মানুষের প্রতিদিন পরিচিত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকল। আমাকে আমার পরিচয়ে আমার চেনা মানুষদের পাচ্ছিলাম।লেখা চলতেই থাকল। চলল ভাঙাগড়া। ‘উচেতা’-র এক শারদীয় সংখ্যায় প্রথম আমার একটি কবিতা ছাপা হল। দারুণ উত্তেজিত হয়ে ছিলাম।

এরপর চড়াই-উতড়াইয়ের দীর্ঘ পথ। ২০০১ সালে রবীন্দ্র লাইব্রেরিতে ‘প্রুফ রিডার’ হিসাবে চাকরিতে ঢুকি। ২০০৪ সালে বেহালার মেয়ে তন্দ্রা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে বিয়ে করল। ২০০৭ সালে আমার একমাত্র সন্তানের জন্ম হল। পুত্রসন্তান, নাম আয়ুধ বন্দ্যোপাধ্যায়। টুকরো টুকরো করে সব ফাঁস করে দেব আমার জীবনভিত্তিক লেখা “আপনকথা-যাপনকথা”-য়। ২০০২ সাল। ৪৮ টি কবিতা নিয়ে “বিপন্ন সত্তার চিতাভস্ম” নামে আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হল আরোহী প্রকাশন থেকে।একদিন মনে হল কবিতা লিখে কিছু হয় না। সমাজের কোনো উপকারে লাগে না। সমাজ বদলানো যায় না। শুরু করলাম প্রবন্ধ লেখার কাজ। নিয়মিত লেখার জন্য পেলাম ফেসবুকের প্ল্যাটফর্ম। প্রচুর পাঠক পেলাম। নিরন্তর প্রেরণা পেলাম।পেলাম প্রচুর বন্ধু।ভারত তো বটেই, ভারত ছাড়িয়ে বাংলাদেশ, আমেরিকা, সুইডেন, চিন, অস্ট্রেলিয়া – সর্বত্র আমার শুভানুধ্যায়ী।২০১৪ সাল। আমার প্রথম প্রবন্ধের বই “লিঙ্গপুরাণ” প্রকাশিত হল আরোহী প্রকাশন থেকে। খুব সাড়া পেলাম। আলোচিত হল বইটি। লেখা চলছে। এখনও লিখে যাচ্ছি একটার পর একটা প্রবন্ধ। পাশাপাশি কবিতা, গল্প লেখার প্রয়াস করছি।আমার আর কোনো বই ছাপার আকারে প্রকাশিত হবে কি না জানি না। হয়তো হবে না। গাঁটের কড়ি খরচ করে বই প্রকাশ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। যদি কোনো সৎ প্রকাশক আমার বই করতে করতে রাজি হয় তাহলে আলাদা কথা। যদি সৎ প্রকাশক না পাই, সেই কারণে আমার নিজস্ব ব্লগ তৈরি করে রাখলাম। যেখানে আমার সমস্ত লেখাই সংরক্ষিত থাকবে। অগামীদিনের পাঠকদের জন্য “খোলা কিতাব” হয়ে থাকবে আমার এই “অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের BLOG”। প্রকাশক, সম্পাদক ও পাঠক – সকলকে আমার আমন্ত্রণ রইল। সবাই পড়ুন এবং খোলা মনে মতামত দিন।

ক্যাটাগরি

  • প্রবন্ধ (40)
  • অণুগল্প (19)
  • অণুকবিতা (16)
  • কবিতা (7)
  • আপনকথা-যাপনকথা (3)
  • প্রতিবেদন (1)

অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

ব্লগ সংরক্ষাণাগার

  • ▼  2020 (2)
    • ▼  জুলাই (1)
      • চার্চ থেকে মসজিদ, মিউজিয়াম থেকে মসজিদ -- এর নাম হা...
    • ►  জুন (1)
  • ►  2019 (1)
    • ►  সেপ্টেম্বর (1)
  • ►  2016 (7)
    • ►  এপ্রিল (1)
    • ►  মার্চ (2)
    • ►  ফেব্রুয়ারী (3)
    • ►  জানুয়ারী (1)
  • ►  2015 (63)
    • ►  ডিসেম্বর (3)
    • ►  নভেম্বর (2)
    • ►  অক্টোবর (2)
    • ►  সেপ্টেম্বর (54)
    • ►  আগস্ট (2)

যে-কোনো ভাষায় অনুবাদ করুন

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

অসাধারণ ইঙ্ক. থিম. chuwy থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.