কাছে টেনে নাও যেমন টানো গোলাপি দুপুরে
তারপর বিস্ময় সঞ্চার হলে দূরে ঠেলে দাও
দূরে ঠেলে দাও
দূরে ঠেলে দাও
ঠেলতে ঠেলতে ছাদের কিনারে
নিরন্ন পাখির মতো ঝুলে থাকি।
অশত্থ-শিকড়ের ভিতরে
নিজেকে লুকিয়ে ফেলেছি আমি,
কারণ আত্মহনন অপেক্ষা
আত্মসমর্পণ ভালো
হে ধ্রুবতারা, পথভ্রষ্ট হবার
আগে
বর্শা-ফলার আঘাতে স্মরণ
করিও হৃদয়তন্ত্রে।
এইভাবে হে আকাশ, এইভাবে
মেঘ থেকে বৃষ্টি নামে
বৃষ্টি নামে পলাশ ফুলের
বর্ণছটায়
মাথার ভিতরে যে পৃথিবী
মাথার বাইরে যে সমুদ্রস্নান--
গভীর পিপাসায়
পাখিওয়ালা হাঁক পেড়ে যায়।
ন্যাংটো থাকে যে অবোধ
শিশু
ন্যাংটো হয়ে যায় যে ধর্ষিতা
যুবতী
ন্যাংটো হতে হয় যে মনোরমার
মায়েদের--
আমি তাদের কণ্ঠনালী থেকে
বিষ শুষে নিতে পারি না।
অথচ কেমন যেন অজান্তেই
এইসব
রক্তক্ষরণ প্রত্যক্ষ করি প্রতিদিন
, নির্লজ্জ আমি।
এ পৃথিবী আমার নয়
এ আকাশ আমার নয়
এ বীজবপন আমার নয়
এ রামধনুক আমার নয়।
বুঝে নাও এক কুলাঙ্গার
এসেছিল এখানে
জেনে যাও এক আঁধার এসেছিল
এখানে--
আর বাকিসব কথার কথা যেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন